রাজনীতি

শেখ হাসিনা’র প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে, ২০২৪, শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তন, রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রূপকার। বঙ্গবন্ধু পয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন।

বেসামাল বিএনপি প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছেন? আমাদের ৩ হাজার নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিল। যার মধ্যে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান নাস্তা খেতে খেতে আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ নেতাকর্মীকে ফাঁসি দিয়েছিল। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজ বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রন করে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিবেশী দেশ নাকি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেবকে বলছি, শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোনো বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখে-শুনে বলছি নিজেদের শত্রু নিজেরা না  হবেন না। আপন ঘরে যাদের শত্রু, তাদের বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তার নির্দেশনার বাইরে যেন না যাই, অপকর্ম না করি, সতর্ক হয়ে যান। তিনি চুপচাপ আছেন বলে শাস্তি পাবেন না, তা নয়। শাস্তি ভোগ করতে হবে। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা বুঝবেন। আর যারা পাননি, তারা স্মরণ করবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, কবি নির্মলেন্দু গুণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল আলিমের কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Share

Follow us