বন্যা কবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : বন্যা কবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আজ ২২ আগস্ট, ২০২৪ বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি একথা জানায়। খবর বাসস।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লা অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এরসঙ্গে বন্যা প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে: ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা। বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা এবং বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক থেকে ‘ইমার্জেন্সী রেসপন্স টিম’ গঠন।
বিজ্ঞাপ্ততে আরো উল্লেখ করা হয়, ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সকাল ৮ টার রিপোর্ট অনুযায়ী বন্যা প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬৯৮৬টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫৪৭৬টি সাইট সচল আছে। অচল টাওয়ারের হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী এবং খাগড়াছড়ির টাওয়ার যার শতকরা হার যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৪ এবং ৪১ দশুিমক ৫ শতাংশ। অচল টাওয়ারসমূহ দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিদের বিটিআরসি থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও অপারেটরদের সাথে বিটিআরসি হতে ভার্চুয়ালি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
টেলিকম অপারেটরদের সাইটসমূহ সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিটিআরসি সমন্বয় সাধন করছে।
পাশাপাশি টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) এর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর এর সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫শ’ মেগাবাইট ডাটা ফ্রি করা হয়েছে।