জাতীয়

আগামী নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

 ‍নিউজ ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু’এক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরণী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা। খবর :বাসস

তিনি আজ ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলো।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং  ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিলো, স্বস্তিতে ছিলো, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।

অথচ বিএনপি’র আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা স্বাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নীসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নীসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেনো মানুষের আর না হয়।

অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

Share

Follow us