তাসকিম খানকে ঘিরে দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ঘিরে গড়ে উঠা দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আজ ১৫ আগস্ট, ২০২৪ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। খবর বাসস।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাসকিম খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। ১২ বছর ধরে তিনি একটার পর একটা চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন। এই তথ্যগুলো, ছবিসহ তার দুর্নীতির চিত্র, এমনকি তার চেহারাও মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তাকসিমকে ঘিরে যে দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছে, সেই চক্র এখনো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। চক্রটির সাথে জড়িত কেউ কেউ এখনও সক্রিয় আছে কিংবা লুকিয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ.এফ. হাসান আরিফ বলেন, যেখানে একটি বড় বাজেট বরাদ্দ থাকে এবং কর্মকা- থাকে সেখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়ে যায়৷ দুর্নীতির পথ খুলে যায়৷ সে জায়গাগুলো বন্ধ করা আমাদের জন্য একান্ত জরুরি। যারা সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব৷ তিনি বলেন, ফাঁকফোকর দিয়ে যে দুর্নীতি হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে৷ কিন্তু আগামীতে এমন হলে আমার নজরে নিয়ে আসবেন৷ অন্তত মূলনীতিটি যদি আমরা ঠিক করে দিয়ে যেতে পারি এবং সে ধারাবাহিকতায় চললে তাহলে বিশ্বাস আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে৷ তিনি বলেন, যদি আমরা ন্যায়-নীতি ঠিক করতে পারি, দুর্নীতির এই জায়গাটা অনেকটা সীমিত হয়ে যাবে৷ আমাদের সামনে অনেক বড় কাজ। অনেক দিনের জঞ্জাল জমে আছে৷ এটা এক-দুই দিনে ঠিক হবে না৷ সকলের সহযোগিতা থাকলে এটা ধাপে ধাপে সমাধান হবে৷
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাজের গতিশীলতা আনতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে নিবিড় কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমরা বসবো। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাযথ প্রিভেনটিভ ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। মাঝখানে যেহেতু একটা বিরতি ছিল। অনেক এলাকাতেই মেয়র নেই৷ সিটি কর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে৷ প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে বসবো, এখানে গণমাধ্যমের বিশেষ অবদান আছে৷ সিটি কর্পোরেশন থেকে না হয় বিভিন্ন ডোবা-নালায় ঔষধ ছিটানো হলো, কিন্তু বাসা বাড়ির ছাদে, ফুলের টবে যে পানি জমে তা প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা দরকার। এই সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন