জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে : ওবায়দুল কাদের

ওপেন প্রেস ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে, দু’দেশেরই স্বার্থ আছে এখানে। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসস

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে তারা আগেও বলেছে। তবে তারা বলেনি নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। যে মন্তব্য করলে খারাপ কিছুর আশঙ্কা থাকে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর চেয়ে অবাধ সুষ্ঠ  নির্বাচন  কি হবে আমরা তা জানি না।  বিএনপি নির্বাচনে আসলো না তার মানে কি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ হলো না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করবো না। সম্পর্কটা থাকুক। এখানে আমেরিকারও স্বার্থ আছে, আমাদেরও আছে।

এর আগে সকালে সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত  ইয়াও ওয়েন।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা প্র্যাবর্সন নিয়ে চীন ভূমিকা নিতে পারে। এটা বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। এমনিতেই বিশ্ব সংকট চলছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আসা সাহায্যও আগের থেকে অনেক কমে গেছে। এতো লোককে খাওয়ানো বাংলাদেশের পক্ষে অনেক বড় বোঝা।

তিনি বলেন,মিয়ানমার যেনো তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয় সে বিষয়ে চীন ভূমিকা রাখতে পারে। জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত ইতিবাচক উত্তর দিয়ে বলেছেন, তারা চেষ্টা করবেন এবং সহযোগিতা জোরদার করবেন।

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অচলাবস্থা আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাত, যার রেশ আমাদের সীমান্তে এসে গেছে। গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। জনমনে আতঙ্ক তো ছড়ায়। যুদ্ধটা তাদের অভ্যন্তরীন। কিন্তু সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ আমাদের এখানে যখন চলে আসে। স্বাভাবিক কারণে ভয় ভিতিও আসতে পারে।  এজন্যে চীনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এখানে ভারত ও চীনের একটা শক্তি বলয় আছে। ভারত ও চীনের ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট আছে। এটা তাদের বিষয়। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে আছি, আমরা যেনো তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে ক্ষতিগ্রস্থ না হই। মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আমির সংঘাতে আমাদের কিছু কিছু ক্ষতি তো হচ্ছে। আকাশ সীমা লংঘন হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের চমৎকার সম্পর্ক। এক্ষেত্রে তারা কিছু করতে পারে কিনা বলেছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চীনের অর্থায়নে চলমান মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বি আর টি প্রকল্প নিয়েও কথা হয়েছে।

Share

Follow us