জাতীয় কাবাডির জেলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি মৌলভীবাজার-খুলনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-রংপুর
ঢাকা, (২৭ ডিসেম্বর ২০২৫) ওপেনপ্রেস২৪ ডেস্ক /বাসস : শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ জাতীয় কাবাডির (পুরুষ ও নারী) জেলা চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল। নিজ নিজ ম্যাচে জয়ী হয়ে পুরুষ বিভাগে মৌলভীবাজার ও খুলনা এবং নারী বিভাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুর ফাইনালে নাম লিখিয়েছে।
পুরুষ বিভাগের প্রথম সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি হয় মৌলভীবাজার ও বগুড়া। মাঠের লড়াইয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে মৌলভীবাজার ৪০-৩৫ পয়েন্টের ব্যবধানে বগুড়াকে পরাজিত করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে। দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খুলনা একক আধিপত্য বজায় রেখে ৩৪-১৮ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে টাঙ্গাইলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
গ্রুপ পর্বে মৌলভীবাজার ‘ক’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন এবং টাঙ্গাইল রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে এসেছিল। অন্যদিকে ‘খ’ গ্রুপ থেকে খুলনা চ্যাম্পিয়ন ও বগুড়া রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল।
নারী বিভাগের লড়াইয়ে চমক দেখিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রথম সেমিফাইনালে তারা গোপালগঞ্জকে ৩৪-১৭ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে। দিনের শেষ সেমিফাইনালে রংপুর ৩৭-২৯ পয়েন্টে রাঙ্গামাটিকে পরাজিত করে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের স্থান পোক্ত করে।
‘ক’ গ্রুপ থেকে গোপালগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন ও রংপুর রানার্সআপ হয়েছিল। আর ‘খ গ্রুপ থেকে রাঙ্গামাটি চ্যাম্পিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্সআপ হয়ে সেমিতে উত্তীর্ণ হয়।
আগামীকাল রোববার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে জেলা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচগুলো।
সকাল ১০টায় পুরুষ বিভাগে ফাইনালে মৌলভীবাজার বনাম খুলনা এবং সকাল ১১টায় নারী বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম রংপুর।
দেড় বছর বয়সী স্নিগ্ধা সারাটা সময় ঘর মাতিয়ে রাখে। আর হাঁটা শেখার পর থেকে সারাক্ষণ শুধু এ ঘর-ও ঘর দৌঁড়ে বেড়ায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সর্দি আর কাশির কারণে একেবারে নেতিয়ে পড়েছে মেয়েটি।
মাঝে মাঝে রাতের বেলায় জ্বরও আসছে। চার দিন পর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার মা-বাবা। ডাক্তার দেখেই বুঝতে পারে মেয়েটি নিউমোনিয়ায় ভুগছে। তবে এখনো প্রাথমিক স্টেজে। কিছু ওষুধ আর খাবারের কথা বলে তিন দিন পর আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন।
ওষুধ আর পর্যাপ্ত খাওয়ার পর স্নিগ্ধার মা সোমা বুঝতে পারে এখন তার মেয়ে অনেকটা সুস্থ। তারপরও তিন দিন পর আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তাকে। ডাক্তার ওষুধগুলো আরও পাঁচদিন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুরাদ হোসেন বলেন, নিউমোনিয়া মূলত ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। বিভিন্ন ভাইরাস, ছত্রাক, জীবাণুজনিত কারণেই এই রোগের বিস্তার ঘটে। নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মতে অপরিণত শিশুর জন্ম, বায়ু দূষণ, পরিবেশ দূষণ, বুকের দুধ পানে মায়েদের অনীহা এবং অপুষ্টি মূল দায়ী এই রোগের জন্য।
তিনি বলেন গুরুতর নিউমোনিয়ার কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই নিউমোনিয়া প্রতিরোধে ও এরই মধ্যে যারা এই কঠিন রোগে ভুগছেন তাদের উচিত দ্রুত সেরে উঠতে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা। এক কথায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
বিশেষ করে শীতে বাড়ে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডার প্রকোপ। কারণ শীতে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে । এছাড়া বাতাসে ধুলা-ময়লার আধিক্য ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বড়ে যায়।
আর সর্দি লাগলে নিউমোনিয়ার প্রকোপও বেড়ে যায়। তাই ঠান্ডা না লাগানোর দিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
ডা. মুরাদ বলেন, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে করে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের হয়ে যায়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ।
শীতে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পানির পাশাপাশি পান করতে হবে টাটকা ফলের রস। এ সময় যত বেশি তরল পদার্থ শরীরে যাবে, ততই ক্ষতিকারক কণা শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। ফলে শ্বাসযন্ত্রও থাকবে সুস্থ। এই রোগ প্রতিরোধে খেতে হবে প্রদাহবিরোধী খাবার।
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে নিউমোনিয়া থেকে দ্রুত আরোগ্য মেলে। এজন্য খেতে হবে বিভিন্ন ধরনের খাবার বাদাম যেমন- কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিদিনের ডায়েটে বিভিন্ন বীজ ও মুরগির মাংসের মতো প্রোটিন রাখতে হবে।
এ সময় প্রচুর শাকসবজি খাওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন সুস্বাস্থ্যের জন্য শীতে মৌসুমি সব শাকসবজি খেতে হবে। পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাকসহ মৌসুমি সব সবজি।
এসবের পুষ্টিগুণ শরীরকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে শক্তি জোগায় এমনকি ফুসফুসসের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
শীতে বাজারে মৌসুমি বিভিন্ন ধরনের ফল মেলে, যেগুলোতে ভিটামিন সি ভরপুর থাকে। ভিটামিন সি’যুক্ত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এসবের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রভাব শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

