জাতীয়

ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে : চমেক ও পুলিশ হাসপাতালে ফারুক-ই-আজম

চট্টগ্রাম, ওপেন প্রেস ডেস্ক : অর্ন্তর্র্বতী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সকলের সুচিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। আন্দোলনের সব দলিল রচনা করা হচ্ছে, পুরো আন্দোলনের দলিলাদি নিয়ে আর্কাইভ করা হবে। আজ ১৯ আগস্ট, ২০২৪ সোমবার খবর বাসস।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে  আহত হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়াস্থ বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদেরকে দেখতে গিয়ে তিনি আজ  দুপুরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরশাসক পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন অনেক জায়গায় জনগণ পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে। এ ধারা  অব্যাহত থাকুক । সবাইকে নিয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যান উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগরসহ অন্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের শারীরিক ও চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নগরীর মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন সাগর। কিন্তু সেখানে সম্পূর্ণ চিকিৎসা  না নিয়ে আবারো রাজপথে চলে আসেন তিনি। পরবর্তীতে ইনফেকশনজনিত কারণে সমন্বয়ক সাগর ১৩ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হন।

চমেক হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, আমি আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। আহতরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং ধীরে ধীরে তাদের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

আহত-নিহতদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে আহতরা চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে উঠুক। যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের যথাযথ মর্যাদায় দেখব। একটু সময় দিতে  হবে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে আপনারা দেশ স্বাধীন করেছেন, আর এখন যারা নতুন স্বাধীনতা নিয়ে এসেছেন তাদের বিষয়টিও দেশবাসী স্মরণে রাখবে।  কথায় আছে না ‘বীরের রক্ত পরাভব (হার) মানে না’। ৫০ বছর পরে ওই একই রক্তধারা এখানে এসে মিশেছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলীম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও মো. রাসেল মাহমুদ।

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ১৮ আগস্ট রোববার বিকেল ৪টার দিকে বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর আকুবদ-ী ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী  মো. নুরুল আবছারের ছেলে আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. ওমরের বাড়িতে যান এবং তার কবর জিয়ারত করে পরিবার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।

Share

Follow us