একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের
ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটার দাবি পূরণের পরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।
আজ ২ আগস্ট, ২০২৪, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। খবর বাসস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কোন অবস্থাতেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়। আদালতে রায়ের পর দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারপরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের আওতা বাড়ানো হয়েছে। তিনজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে জাতিসংঘসহ যে কোন দেশ কিংবা সংস্থা চাইলে যোগ দিতে পারে। সরকার তাকে স্বাগত জানাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তাদের অনেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। আহতদের দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছেন।
শিক্ষার্থীদের আটক নিয়ে সেতু মন্ত্রী বলেন, তাদের অযথা হয়রানি অথবা আটক না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘেœ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য পুনঃসময়সূচী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, সেহেতু বিশ্বাস করি তারা শ্রেণিকক্ষে, পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কোন অশুভ শক্তির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক এটা জাতি চায়না।
নাগরিক সমাজকে গুরুত্ব দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের ব্যক্তিগত মতামতকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন পক্ষ যাতে ফায়দা নিতে না পারে। রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সকলের বিবেচনায় নেয়া উচিত
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামাত-শিবির নিষিদ্ধে দেশের জনগণ সাধুবাদ জানালেও অসন্তুষ্ট বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতে স্পষ্ট বিএনপির সাথে জামাতের সম্পর্ক কতটা নিবিড়। সে কারণে তারা জামাত শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলেছেন। বিএনপি-জামাত সব সময় গাটছড়া বেঁধে পথ চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন।