অর্থ-বাণিজ্য

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নের হার শতভাগে দাঁড়াবে

ঢাকা, (১৩ জুন, ২০২৪), ওপেন প্রেস ডেস্ক /বাসস : ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নের হার শতভাগ হতে পারে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১২ জুন পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার শতকরা ৯৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৩০ জুন পর্যন্ত এ হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ইতিহাসে প্রায় শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের হার এই প্রথম।

বুধবার ঢাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে স্মার্ট প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কিত এক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডাক অধিদফতর, বিটিসিএল, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর ১২টি প্রকল্পের সবগুলোতে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়নের এ সফলতা অর্জিত হয়।

এ বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক সভাপতির বক্তৃতায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের প্রয়োজনীয়তা, প্রকল্পের রিটার্ন কী হবে ও যথার্থতা কী- এ তিনটি বিষয় কঠোরভাবে মেনে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা অপরিহার্য।

এর আগে তিনি গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এডিপি সম্পর্কিত এক বৈঠকে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার শতভাগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তার এ নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি।’

তিনি জানান, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি মূল স্তম্ভ  ইতোমধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। স্তম্ভগুলো হচ্ছে- স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ চারটি পিলার শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আগামী ৫ বছরে মন্ত্রণালয় কী করবে, সে বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেগুলো হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটকসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Share

Follow us