বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ভিয়েনা’র দোয়া
রওশন ঝুনু :
তুমি জন্মেছিলে বলে জন্মেছিল দেশ,
পিতা তোমার আরেক নাম স্বাধীন বাংলাদেশ”
আমরা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ভিয়েনা. অষ্ট্রিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ক’রে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করে।
আজ ১৭ মার্চ রোববার অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহিফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক বিকাশ ঘোষ অনলাইন বার্তায় ‘ওপেন প্রেস টুয়েন্টিফোর ডট কম”কে এ কথা জানান।
আলোচকবৃন্দ বলেন, আজ ১৭ মার্চ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই মহানায়ক ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তার হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতীয় শিশু দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ দিবসটি উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে ঢাকা, টুঙ্গিপাড়াসহ সারাদেশে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে সেখানে শিশু সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বইমেলাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান ও মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর বয়সেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত করছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৫৫ বছর বয়সে কিছু বিপথগামী সেনা কেড়ে নেন তার প্রাণ। কিন্তু দেশের প্রতিটি কোনায় আজ উচ্চারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই.’।