ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন : আবারো মেয়র হচ্ছেন টিটু
রওশন ঝুনু, ময়মনসিংহ থেকে (৮ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার) : রাত পোহালেই ভোট। আগামীকাল ৯ মার্চ ২০২৪, শনিবার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচন। গতকাল রাত আটটার পর থেকে প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত ভোটের মাঠ গরম করে রেখেছিলো
ঘডি প্রতীক প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু সমর্থিত নেতা কর্মীবৃন্দ। মসিক নির্বাচনে মোট ৫জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
এছাড়াও, ময়মনসিংহ সিটি কর্মেপোরেশন নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
প্রচারণার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখা গেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা কর্মীরাও টিটুর পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
নগরীর রাজনৈতিক সামাজিত, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিগতভাবেও নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর,য্বুক, আবাল বৃদ্ধ বণিতাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ নেমে এসেছিলো টিটুর মিছিলে।
এই চিত্র থেকে বলাই যায়ম আবারো মেয়র হতে যাচ্ছেন ইকারমুল হক টিটু, এমনটাই মত প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটার এবং নগরবাসী। উন্নয়নের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে টিটুকেই পুনরায় মেয়র হিসেবে দেখতে চান ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ভোটারবৃন্দ।
কারণ বিপদ-আপদে সব সময়ই পাশে থাকার অঙ্গীকার রক্ষা করেই বিগত ৫ বছর বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করেছেন টিটু।
শহরের অলিতে গলিতে, আনাচে-কানাচে সর্বত্রই গণজোয়ার উঠেছে ঘড়ি প্রতিকের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে। বিপুল ভোটে বিজয়ের আগাম আভাসে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস বয়ে গেছে টিটু সমর্থিত নেতা কর্মীদের মাঝে। প্রত্যেক ভোটারের বক্তব্য একটাই, ঘড়ি প্রতীকের ভোট গণনা করে মেষ করা যাবে না। বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ইকরামুল হক টিটু।
সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, ভোটের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন ময়মনসিংহ মহনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তুমুল জনপ্রিয় নেতা ইকামুল হক টিটু।
ময়মনসিংহ পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে প্রথমে পৌরসভার মেয়র এবং পরে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন টিটু। জীবনে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি। একাধারে প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ জনপ্রতিনিধি থাকায় সব শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক। সারাজীবন মানুষের আপদে, বিপদে, দুর্যোগে, দুর্বিপাকে পাশে থেকে সহায়তা করেছেন অতি মানবিক এই মানুষটি।
নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও অন্যের প্রয়োজনে ছুটে গেছেন অবলীলায়। করোনাকালীন দুর্যোগের সময় অধিকাংশ নেতা ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা যখন সংক্রমণের ভয়ে ঘরবন্দী নসয় পার করছিলেন, মেয়র টিটু তখন চরম বিপদের সময় মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ছুটে গিয়েছেন অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে। পায়ে হেঁটে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটি অসহায় অসচ্ছ্বল মানুষের ঘরে গিয়েছেন খোঁজ খবর নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসহায় কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ।
নগরবাসীকে কথা দিয়েছেন একজন মানুষও খ্যাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাবে না। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও মানুষক সহায়তা প্রদান করেছেন সমানতালে। কোনো মানুষ মেয়র টিটুর কাছে সহায়তা চেয়ে পাননি এমন নজির নেই। গরিব দুঃখী শ্রমজীবী মানুষকে ভালোবেসে, তাদের যেকোনো যাকে সাড়া দিয়ে তাদের মন কজয় করে নিয়েছেন তিনি।
শহরের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন টিটু। রাস্তা নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা নিরসন ইত্যাদিসহ অনেকটাই বদলে দিয়েছেন ময়মনসিংহ নগরের চেহারা। পাশাপাশি অবৈধভাবে দখলকৃত ৩০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেও নায়কোচিত ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু ওপেনপ্রেস২৪কে বলেন, আমার অবস্থান থেকে আমি সার্বক্ষণিক নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছি। মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সকল সেবা সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মেনেই কাজ করেছি। একটি দিনের জন্যও নগরবাসী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকিনি। করোনাকালে সকল কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা ছিলো অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে ময়মনসিংহ নগরীকে একটি সমৃদ্ধ নগর করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক দুটি সংকট আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা তেমনভাবে আমাদের কাজগুলো করতে পারিনি। আমরা যদি স্বাভাবিক গতিতে কাজ করতে পারতাম তাহলে আমাদের এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক কাজই গুছিয়ে এনেছি। এরই মধ্যে ৩৫৮ কিলোমিটার সড়ক ও ২৪৯ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করেছি। পাশাপশি নগরকে আলোকিত ১৭১ কিলোমিটার সড়কে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি। জলাবদ্ধতা নিরসনে অব্যাহত অভিযানে ১৬ কিলোমিটার খাল ইতোমধ্যে দখলমুক্ত করা হয়েছে। অসমাপ্ত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ও লন্ডন সিঙ্গাপুর সিটির আদলে ময়মনসিংহ শহর গড়ে তুলতে আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকেই ভোট দেবে।