জাতীয়

সাংবাদিকতার যোগ্যতার মানদন্ড নির্ধারণে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ওপেন প্রেস ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের একটা মানদন্ড থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে, তখনই বলা হবে-  সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সাথে সরকার একমত।

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসস।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে সাংবাদিকদের এই বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সাথে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই; এটি সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, সকল পেশাদার সাংবাদিকের দাবি- সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, সংজ্ঞায়ন থাকুক কারা সাংবাদিক, কিংবা কারা নন। সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত এমন প্রশ্ন সাংবাদিকরাই উত্থাপন করেছেন। কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলবে যে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।
‘অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি – এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।’ তিনিবলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়।’
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোন আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।

Share

Follow us