জাতীয়

মার্চের মধ্যে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ কার্যকর হবে: লুৎফে সিদ্দিকী

ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত অধ্যাপক লুৎফে সিদ্দিকী আজ বলেছেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য মার্চ মাসের মধ্যে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, ‘১৯টি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) প্রদানকারী সংস্থার মধ্যে সাতটি এই ধাপে অন্তর্ভুক্ত। আমরা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে সাতটি সংস্থার ম্যানুয়াল সিস্টেম বন্ধ করে দেব। ৩১ জানুয়ারির পর সাতটি সরকারি সংস্থার জন্য ম্যান্যুয়াল সিএলপি জমা আর গ্রহণ করা হবে না।’

আজ ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ শনিবারবঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর  অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে ‘অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক দ্বিতীয় অধিবেশনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিশেষ দূত একথা বলেন। খবর বাসস।

এই সাতটি সংস্থা হলো- ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ), রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিস্ফোরক অধিদপ্তর (ডিওইএক্স), বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই)।

লুৎফী সিদ্দিকী বলেন, বাকি ১২টি সংস্থা ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই উইন্ডোতে একীভূত হবে।

তিনি বলেন, তবে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা তাদের ব্যবসায়িক পরিচয় নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ডিজিটালি জমা দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, এই সিস্টেম ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক সমস্ত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট পেতে পারবেন এবং পণ্য ছাড়পত্রের জন্য একটি একক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে পারবেন।

‘শ্বেতপত্র ২০২৪-এর চেয়ার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র বিশিষ্ট ফেলো ও সিটিজেন প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজিএস-এর আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অধিবেশনটি সঞ্চলনা করেন।

শ্বেতপত্রের লেখক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)’র উপাচার্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. ম. তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শরণার্থী ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিট (আরএমএমআরইউ)’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (এসএএসইএম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান শ্বেতপত্রের ওপর উপস্থাপনা করেন।

বিশিষ্ট ভাষ্যকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিপিডি’র বিশিষ্ট ফেলো প্রফেসর রওনক জাহান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. মাইকেল ক্রেজ্জা, বিশ্বব্যাংকের মানব উন্নয়ন বিভাগের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রোগ্রাম লিডার সাইদ আমের আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

Share

Follow us