জাতীয়

আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলো আছে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

রওশন ঝুনু, ঢাকা : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমরা জাতির পিতাকে হারিয়েছি। একইসঙ্গে হারিয়েছি আমার মা এবং ভাইদেরকে। আমার তো হারাবার কিছু নেই! ‘৭৫ সালের পর যে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো, যে বাংলাদেশে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে ‘৯২ সালে আমরা দেখেছি, ২০০১ এর পর বা তার আগেও বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমরা (আওয়ামী লীগ) সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।

আজ রোববার ২২ অক্টোবর ২০২৩ দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, যখন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলে, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো, তখন ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যার যা কিছু ছিলো, তাই নিয়ে,  সেই অস্ত্র তুলে নিয়েই আমাদের এই দেশ স্বাধীন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উদার মনের। তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। যে কারণেই আমাদের আজকের স্লোগান ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিক এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি। আজকে সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের উপর পূজামণ্ডপ। পূজা সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কাজেই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ থাকে, সেই অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে, আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি। আজকে আমরা এটুকু চাইবো যে,আপনারাও বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ করেন।আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা,এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি, সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া,এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। মানুষের কল্যাণ করাই আমরা আমাদের একমাত্র দায়িত্ব। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করবো, সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা সেটাও করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে, সুরা কাফেরুনে বলা হয়েছে,  ‘লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল-ইয়া দ্বীন।’ অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কাজেই কেউ কারো উপর হস্তক্ষেপ করবে না। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা আছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের সব নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পাশে থাকবে। কোনো রকম অঘটন যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকবো। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি গোপীবাগে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেন।

Share

Follow us