বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি পরিকল্পিত ও বিশেষ হত্যাযজ্ঞ: আলোচনা সভায় বক্তারা
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : বাংলা একাডেমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, গণহত্যা কালে কালে দেশে দেশে হয়েছে। তবে এর মাত্রাগত তারতম্য আছে। বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি পরিকল্পিত ও বিশেষ হত্যাযজ্ঞ।
তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয়ের ঊষালগ্নে বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণের এক বিশেষ অপপ্রয়াস। গণহত্যাকারীরা নতুন রূপে ফিরে আসে। তারা জনমানুষের রক্ত ঝরিয়ে শাসন-শোষণ কায়েম রাখতে চায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের রচনায়, কর্মে ও স্বপ্নে যে দেশের স্বপ্ন দেখেছেন, তার বাস্তবায়নেই তৈরি হবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রকৃত পরিচয়।
আজ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ শনিবার বিকাল ৪টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। খবর বাসস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত একাডেমির দুই ফেলো রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারেয়ার ও কবি হেলাল হাফিজের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে বাংলা একাডেমি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীর মিরপুর ও রায়ের বাজারস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির সচিব মোহা. নায়েব আলী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা নিত্রা।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, দেশের মানুষ ইতিহাস জানতে চায়, তবে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা সেভাবে স্বচ্ছ ইতিহাস জানাতে পারেননি। ইতিহাস রচনায় পক্ষপাত দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
তিনি আরো বলেন, একাত্তরের বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়েছেন। যদি আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থচিন্তা ত্যাগ না করতে পারি, তবে তাদের প্রাণদান ব্যর্থ হয়ে যাবে ।
মোহা. নায়েব আলী বলেন, একাত্তরের শুধু ১৪ই ডিসেম্বরেই বুদ্ধিজীবী নিধন হয়নি বরং ২৫শে মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবেই বুদ্ধিজীবী হত্যা করে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি শেষ করে দিতে চেয়েছে হায়েনারা।