ক্যাডম্যানের নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের উল্লেখযোগ্য মাইলফলক: চিফ প্রসিকিউটর
ঢাকা, (২১ নভেম্বর ২০২৪), ওপেন প্রেস ডেস্ক/বাসস : বিশেষ প্রসিকিউটরিয়াল এডভাইজার হিসেবে টবি ক্যাডম্যানের নিয়োগ মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম ।
আজ ২১ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। খবর বাসস।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ক্যাডম্যানের এ নিয়োগ আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং অনুশীলনসমূহ মেনে চলার পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাইব্যুনালের যে নিষ্ঠা আছে তার পরিচয় কহন করে। ভুক্তভোগীদের ব্যাপারে সঠিকভাবে জানতে, তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জটিল সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ট্রাইব্যুনালের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যথাযথ বিচারের দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাডম্যানের নিয়োগ এই লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।’
সকল অংশীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি টবি ক্যাডম্যানকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় স্বাগত জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, টবি ক্যাডম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন বিশেষজ্ঞ। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই), রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ(আইসিটিআর) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধ বিষয়ে জটিল সব মামলা বিচারে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
ট্রাইব্যুনাল যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার নিয়োগের সিদ্ধান্তটি এসেছে।
কেস ম্যানেজমেন্ট, তদন্ত এবং বিচার কৌশলে তার দক্ষতা নিঃসন্দেহে ট্রাইব্যুনালের কার্যাদেশ কার্যকর ও স্বচ্ছভাবে পালনের ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ট্রাইব্যুনালের ন্যায় বিচার, জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মানগুলিকে সমুন্নত রাখবে।
ক্যাডম্যানের সম্পৃক্ততা ট্রাইব্যুনালের ফলাফলের প্রতি জনগনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করে।