শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাশ্রয়ী মূল্যে বিটিসিএলের সেবা নিশ্চিত করুন : নাহিদ ইসলাম
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাশ্রয়ী মূল্যে বিটিসিএলের সেবা নিশ্চিত করতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিটিসিএলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। খবর বাসস।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের এক মাস পূর্তিতে অভ্যুত্থানে সকল শহীদ এবং আহতদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের সব মানুষ নতুন করে আশাবাদী হচ্ছে। বর্তমানে যে সময় আছে তাকে কাজে লাগিয়ে সংস্কারের কাজ করা হবে; দেশবাসী এটাই প্রত্যাশা করছে এবং আমরা সর্বক্ষেত্রেই এমন সংস্কার করতে চাই যাতে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী লাভবান হবে।’
তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগ আছে কিন্তু সেটা জনগণের কাছে কেনো পৌঁছায় না তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে; তারমধ্যে থেকেই জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিটিসিএলের প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তা বন্ধ করাসহ বিটিসিএলের বিরুদ্ধে যে মামলা আছে সেগুলো নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। এই সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অডিট আপত্তি রয়েছে এক্ষেত্রে দায়ীদের কাছ থেকে অডিট আপত্তির অর্থ আদায় করে আপত্তি নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।
হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিটিসিএলের অত্যন্ত লাভজনক একটি এপ্লিকেশন ‘আলাপ’ উদ্বোধন করা হয়েছিল এতে বিটিসিএল ব্যাপকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু হয়নি। ‘জিপন’ খুবই জনপ্রিয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেয় বিটিসিএল। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আলাপ এবং জিপনকে জনপ্রিয় করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার। আমরা নতুন আঙ্গিকে, নতুন প্রচেষ্টায় দেশকে গড়ে তোলার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
রাষ্ট্রের কাজ হল জনগণকে সেবা দেয়া। বর্তমান সরকার যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের মাঝে সমতার ভিত্তিতে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সচিব বলেন, সেবাদানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হবে এবং সেবাদানের পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে যাতে মানুষ সহজেই সেবাগুলো পায়।
মতবিনিময় সভায় বিটিসিএলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।