জাতীয়

সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ঢাকা,ওপেন প্রেস ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ ২৫ আগস্ট, ২০২৪ রোববার এ কথা বলেন। খবর বাসস।

এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি দেশের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্র্রধান ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, দক্ষ রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।

তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, এছাড়া কৃষ্ণের প্রেমিকরূপের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বৃন্দাবন লীলায়, যা বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরণা। শ্রীকৃষ্ণের ভাব ও দর্শন যুগ যুগ ধরে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ অটুট রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাত বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। শ্রীকৃষ্ণের  আদর্শ ও শিক্ষা মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং এ সংকট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, দেশের পরিবর্তিত আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর আয়োজন সর্বজনীন ও উৎসবমুখর হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Share

Follow us