জাতীয়

বিচারাধীন বিষয় রাজপথে নেয়া উচিত নয়, আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ এটর্নি জেনারেলের

ঢাকা, ওপেন প্রেস  ডেস্ক : দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে বিষয়টা বিচারাধীন সেটা রাজপথে নেয়া উচিত নয় বলে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে আজ ৮ জুলাই, ২০২৪, সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালত রায় দিয়েছে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে গেছে। তাই এই মুহূর্তে এই ধরনের আন্দোলনটা আমি মনে করি তাদের না করাই উচিত হবে। খবর বাসস।

তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের বলব আদালতে যে বিষয়টা বিচারাধীন, সেই বিষয়টা রাজপথে না আনতে। কারণ, এটা আদালতে তো আছেই, বিচারটা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের আমি একটু ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করব। আমি জানি না আন্দোলনটা তারা কেন করছেন? আমি মনে করি আন্দোলনটা না করাই ভালো।’ এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। কাল বুধবারও যদি পূর্ণাঙ্গ রায় পাই তাহলেও আমরা সিপি (নিয়মিত আপিল) করব।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে উচ্চ আদালত। সে রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার কোর্ট। গত ৪ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে। তবে ওইদিন রিটের পক্ষের জেষ্ঠ্য আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।

Share

Follow us