বেগম সুফিয়া কামাল এবং কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির নানাভাবে দেশের শিল্প-সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন : সেলিনা হোসেন
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : লেখক ও নারী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামাল এবং কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির নানাভাবে দেশের শিল্প-সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন।
আজ ১৯ মে, ২০২৪, শনিবার কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির এবং কবি সুফিয়া কামাল স্মরণে বাংলা একাডেমিতে বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠানে একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন সভার সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। খবর বাসস।
একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাডেমির সভাপতি ছাড়াও স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্বরত) ড. সরকার আমিন। ‘স্মরণ: আবদুল কাদির’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কবি মাহবুব সাদিক এবং ‘স্মরণ : সুফিয়া কামাল’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক আনায়ারা সৈয়দ হক।
কবি মাহবুব সাদিক বলেন, বাংলা কবিতা ও ছন্দচর্চায় এক বিশিষ্ট নাম আবদুল কাদির। নজরুল, রোকেয়াসহ বহু লেখকের সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটাতে আবদুল কাদিরের সম্পাদিত রচনাবলি যুগের পর যুগ প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি বাঙালি মুসলমানের কৃতী মনীষার রচনাসম্ভার অনুসন্ধান ও সংকলনেও তাঁর ভূমিকা ঐতিহাসিক।
আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বেগম সুফিয়া কামাল সাহিত্যকে নানা গুণে সমৃদ্ধ করেছেন । কবিতার পাশাপাশি গদ্য চর্চা করেছেন তিনি। তাঁর ভ্রমণগদ্যের অনুপম নিদর্শন ‘সোভিয়েটের দিনগুলি’ গ্রন্থের কাহিনিটিতে তিনি যেমন ১৯৬৭ সালের বাস্তবতায় সোভিয়েত রাশিয়ার সাম্যবাদী-আধুনিক চিত্র তুলে ধরেছেন তেমনি তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে সোভিয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে গমনের বিড়ম্বনা ও অভিজ্ঞতা অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রকাশ করেছেন।
সরকার আমিন বলেন, আবদুল কাদির এবং সুফিয়া কামাল আমাদের সাহিত্যর স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা আমাদের সাহিত্যকে যেমন তাদের কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি আমাদের চৈতন্যের জাগরণে রেখেছেন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান।