জাতীয়

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে কনডেমড সেলে না রাখতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : সকল বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট বিভাগের রায় আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

 আজ ১৫ মে, ২০২৪, বুধবার হাইকোর্ট বিভাগের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার কোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ সময়ের মধ্য সিপি (সিভিল পিটিশন) দায়ের করতে বলা হয়েছে। খবর বাসস।

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ সোমবার রায়টি ঘোষণা করেন। ওই রায়ে কতগুলো নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তিনি বলেন, নির্দেশনাগুলো এখন স্টে না হয়ে বহাল থাকলে আইনের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কনটেম্পট পিটিশনের সুযোগ রয়েছে।

এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া রায়টির বিষয়ে আমরা আইনের কতগুলো প্রশ্ন তুলেছিলাম। আমাদের উত্থাপিত প্রশ্নগুলো একমাত্র আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।’ তিনি বলেন, আইনের সাথে কোন শব্দ আদালত সংযুক্ত করতে পারেন কি-না তা দেখতে হবে। আইনের কোন বিষয় সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হলে কেবলমাত্র তার বৈধতা প্রশ্নে আদেশ ও রায় ঘোষণার সুযোগ রয়েছে উচ্চ আদালতে। এটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের কপি হাতে পেলেই আমরা সিপি ফাইল করব।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেন।

হাইকোর্ট বিভাগের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দন্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে ২০২১ সালে রিটটি হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি করেন। ওই রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট বিভাগ রায় দেন। রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।

Share

Follow us