শামীমের বিধ্বংসী ইনিংসে বরিশালের বিপক্ষে রংপুরের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৯ রান
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার) : ৭৭ রানে ৭ উইকেট পতনের পরও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিয়েছেন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম হোসেন। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ২৪ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শামীম। খবর বাসস।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারের মধ্যেই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে রংপুর।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রংপুরের মেইক শিপ্ট ওপেনার মাহেদি হাসানকে ২ রানে শিকার করেন বরিশালের পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মাহেদির বিদায়ে উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। ওভারের শেষ বলে সাকিবকে ১ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান সাইফুদ্দিন।
পঞ্চম ওভারে রংপুরের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডিয়াম পেসার কাইল মায়ার্স। ১২ বলে ৮ রান করা ওপেনার রনি তালুকদারকে শিকার করেন মায়ার্স।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ২৬ রান পায় রংপুর। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে রংপুরকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে অপরাাজিত ৯৭ রান করা নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশাম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান।
মায়ার্সের করা সপ্তম ওভারের শেষ তিন বলে ৩টি চার মারেন নিশাম। নবম ওভারের শেষ বলে পুরানকে ৩ রানে থামিয়ে বরিশালকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের ওভারের প্রথম বলে নিশামকে তুলে নিয়ে রংপুরকে খাদের কিনারায় ফেলে দেন বরিশালের পেসার ইংল্যান্ডের জেমস ফুলার। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৩০ রান যোগ করেন নিশাম ও পুরান।
৪৮ রানে ৫ উইকেট পতনে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর। এ অবস্থায় বড় জুটির প্রয়োজন পড়ে রংপুরের। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২ রানে ফুলারের হাতে জীবন পেয়ে সোহানের সাথে ৩১ বলে ২৮ রান যোগ করে উইকেটে সেট হয়ে যান নবি।
১৫তম ওভারে শেষবারের মত আক্রমনে এসে রংপুরের দুই সেট ব্যাটারকে বিদায় দেন ফুলার। ১টি করে বাউন্ডারিতে নবি ১২ রানে এবং সোহান ১৪ রানে ফুলারের বলে আউট হন। এতে ৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে রংপুর।
কিন্তু অষ্টম উইকেটে আবু হায়দারকে নিয়ে শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন শামীম। ৩১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭২ রান যোগ করেন তিনি। এরমধ্যে ২২ বলে শামীম ৫৮ রান ও আবু হায়দার করেন ৯ বলে ১২ রান। মাত্র ২০ বলে টি-টোয়েন্টি পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন শামীম। এবারের বিপিএলের দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরিতে নিজ দলের সাকিবকে স্পর্শ করেন তিনি। এর আগে এবারের আসরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব।
বরিশালের পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওবেড ম্যাককয়ের করা ১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ২৬ রান নেন শামীম। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। প্রায় আড়াইশ স্ট্রাইক রেটে ৫টি করে চার-ছক্কায় ২৪ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন শামীম। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার। বরিশালের ফুলার ২৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।