ছাত্র ফেডারেশনের দুই নেতার সড়ক দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি
রওশন ঝুনু, ঢাকা : বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিমের সড়ক দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
আজ ১১ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার, সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় ইস্কাটন টিএমসি মার্কেটের সামনে এই কর্মসুচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি প্রবীর সাহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চলচিত্র নির্মাতা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক উৎসব মোসাদ্দেক, ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান, ঢাকা নগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি অনুপম রায় রূপক, ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হকসহ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা সাবেক দুই নেতার সড়ক দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়ে বলেন, “আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম সমাজের সবার মঙ্গলের জন্য চিন্তা করতেন এবং সে কাজে নিবেদিত ছিলেন। আরিফুল ইসলাম ছিলেন ছাত্র রাজনীতির এক উজ্জ্বল নাম। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব চেষ্টা তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই করেছেন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি গণসংহতি আন্দোলনে যুক্ত হন এবং দেশের গণমানুষের রাজনীতি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর পাশাপাশি তিনি মননশীলতার চর্চায় ভূমিকা রাখতে প্রকৃতি-পরিচয় প্রকাশনা এবং ইউপিএলে যুক্ত হয়ে জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। সৌভিক করিম ছাত্রজীবন শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন, পাশাপাশি তার সংগীত চর্চা ও লেখালেখি অব্যাহত রাখেন । তরুণ বয়সেই তিনি এদেশের সংগীত চর্চায় তার উজ্জ্বল অবদান রেখে গেছেন । তার রচিত গান বাংলা সিনেমার সর্বকালের সেরা ১০০টি গানের ভেতর জায়গা করে নিয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, “বাংলাদেশে সড়কে প্রতিবছর হাজার মানুষ সড়কদূর্ঘটনায় মারা যান। ২০১৮ সালে এদেশের কিশোররা নিরাপদ সড়কের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন আরিফুল ইসলাম সেই আন্দোলনেও যুক্ত হয়েছিলেন ।
আমাদের অগ্রজ আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম তাদের জীবনের পুরোটা সময় এদেশের মানুষের জীবনকে নিরাপদ করার সংগ্রাম করে গেছেন, আমরা তাদের উত্তরসূরী হিসেবে আমাদের লড়াই চালিয়ে নেবো ।