রিয়াদে উপসাগরীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প : সৌদি সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র
ঢাকা, (৪ মে, ২০২৫) ওপেন প্রেস ডেস্ক/বাসস : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের শেষ দিকে রিয়াদ সফরকালে উপসাগরীয় ছয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আজ ৪ মে, ২০২৫ রোববার এএফপিকে জানিয়েছেন সৌদি সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। খবর বাসস।
সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে এএফপি জানায়, ১৩ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ট্রাম্প। রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সংক্ষিপ্ত সফর ব্যতীত এটিই হবে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বিদেশ সফর।
সূত্রটি জানায়, ‘ট্রাম্প রিয়াদে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’ জিসিসি হলো ছয়টি উপসাগরীয় দেশ- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত ও ওমানের একটি জোট।
বৈঠকের লক্ষ্য হচ্ছে ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা,’ যোগ করেন সূত্রটি। গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন।
ট্রাম্পের সফরের আগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব থেকে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি আদায় করার বিষয়ে ট্রাম্প গর্ব প্রকাশ করে আসছেন। একইসঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়ও সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
রিয়াদ সফরের সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জিসিসি অঞ্চলের বিপরীত তীরে অবস্থিত ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পরোক্ষভাবে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তিনি তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখবেন এবং বিশ্বের সব দেশকে ইরানি তেল ও পেট্রোরসায়নজাত পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এ সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠেয় আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ট্রাম্প পূর্ববর্তী পরমাণু চুক্তি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এবার তিনি নতুন একটি চুক্তি করে উদ্বেগ নিরসন ও ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক হামলা প্রতিহত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ট্রাম্পের নীতিগত আরেকটি লক্ষ্য হতে পারে সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত একটি চুক্তি- যেটি তার প্রথম মেয়াদে সম্পাদিত আব্রাহাম চুক্তির ধারাবাহিকতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তবে সৌদি আরব জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলের সঙ্গে কোনো ধরনের স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির বিষয়ে বিবেচনা করবে না।

