পরোক্ষ ভোটে মেয়র ও চেয়ারম্যান নির্বাচন : ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা পোক্ত হবে: অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা, (২৪ মার্চ, ২০২৫), ওপেন প্রেস ডেস্ক/বাসস : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্তর্বী সরকার হাত দিয়েছে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে। এ লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে কয়েকটি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও তার একটি।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। তিনি একজন শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি তোফায়েল আহমেদ আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর মুখোমুখি হয়েছেন।
বাসস-এর প্রতিবেদক রুমানা জামানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ কমিশনের সুপারিশসহ আরো নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
কমিশন এরই মধ্যে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রত্যক্ষ ভোট তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কেবল সদস্য বা কাউন্সিলররা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। এরপর নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
তবে স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত হয়ে আসা জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই এই সুপারিশে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এতে সদস্য বা কাউন্সিলরদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বেন চেয়ারম্যান ও মেয়ররা।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সংসদীয় আদলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পুনঃস্থাপন ও পরিচালনার কথা ভাবছি। এতে নির্বাচিত পরিষদ বা কাউন্সিল শক্তিশালী হবে। যৌথ গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে, একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব হবে, ক্ষমতার ভারসাম্য আসবে এবং জবাবদিহিতার জায়গা পোক্ত হবে।’
স্থানীয় সরকার কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি মিডিয়াতে দেখলাম কিছু জায়গায় প্রশ্ন তোলা হচ্ছে- সরাসরি নির্বাচনে যে চেয়ারম্যান ও মেয়র হয় সেটা যদি বন্ধ হয় তাহলে গণতন্ত্র থাকবে না, অথচ এখন যে সিস্টেমে মেয়র, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছে সেই সিস্টেমটা সত্যিকার অর্থে কাজ করছে কি না সেটা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন করছে না। এমন যদি হয় তবে তো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। যেটা ছিলো সেটাই থাকুক। তাছাড়া আমরা যে বিকল্প চিন্তা করেছি। সে বিকল্পটা যদি ঠিক না হয় তার একটা অন্য বিকল্প উপস্থাপন করুন। এরকম কোন বিকল্পও আমরা এতোদিন দেখিনি।’
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘এতদিন পর্যন্ত যে সিস্টেমটা ছিল তাতে চেয়ারম্যান সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে যারা সদস্য নির্বাচিত হতেন তারা গুরুত্বহীন হয়ে পড়তেন। তাদের সভাগুলো নামকওয়াস্তে হয়। চেয়ারম্যান এককভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চালান। উপজেলার চেয়ারম্যান, ইউএনও, থানা এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও পিআইও এদের সঙ্গে সখ্য করে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এনে মেম্বারদের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা করেন। একটা ভাগের সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বলে আর কিছু নেই। একক ভাবে চেয়ারম্যানের প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। এখানে গণতন্ত্রের চর্চা একেবারেই নেই।’
চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ যে একটা প্ল্যান করবে, ডিবেট হবে, আলোচনা হবে, সিদ্ধান্ত নেবে-এই জিনিসটা টোটালি উঠে গেছে। চেয়ারম্যান এখন পরিষদ থেকে বড় হয়ে গেছেন। এখানে পরিষদ বলে কিছু নেই। চেয়ারম্যানের হাতেই সব ক্ষমতা। এ কারণেই আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে চাইছি।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো সমজাতীয় পদ্ধতিতে পুনঃস্থাপনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখন সবগুলো লোকাল গর্ভমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, এই তিনটাতে তিন রকমের কাঠামো। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে কাঠামোগুলোকে একটা কাতারে এনে অভিন্ন করে ফেলা। অভিন্ন করতে গিয়ে আমরা যেটা চিন্তা করলাম তা হলো- সদস্য, চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত আসনে মহিলা নির্বাচিত হয়। এখানে তিনটা নির্বাচন হয়। জেলা পরিষদে গিয়ে কোনটাই হয় না। জনগণ ভোটই দেয় না। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে এরা এদের মেম্বার রিপোর্টটা দিয়ে জেলা পরিষদ তৈরি করে। এই যে অসামঞ্জস্যতা, সেটাকে আমরা একটা সিস্টেমে আনার চেষ্টা করেছি। একীভূত একটা সিস্টেম।
সিস্টেমটা হলো- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা হবে। একটি বিধানিক অংশ, দ্বিতীয়টি নির্বাহী অংশ। বিধানিক অংশে প্রধানকে বলা হবে সভাধ্যক্ষ। তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের মতো দায়িত্ব পালন করবেন। আর নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন মেয়র বা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, নির্বাচিত কাউন্সিলর বা সদস্যরা পরিষদের প্রথম সভায় ভোট দিয়ে একজন সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করবেন। পরে সভাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কাউন্সিলররা বা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। আর নির্বাচিত মেয়র বা চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়ে আইন অনুযায়ী তিন বা পাঁচ সদস্যের ‘নির্বাহী কাউন্সিল’ গঠন করবেন।
সাবেক জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পরোক্ষ ভোটের যে প্রস্তাব এখানে ক্ষমতা খর্ব হত পারে। তারা আশংঙ্কা করছেন এতে অভ্যন্তরীণ দলাদলি হতে পারে, কেই কাউকে মানবে না। তাহলে কিভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য হবে?
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটা একেবারেই একতরফা কথা। কারণ, এটি একটা ফোরাম। এখানে মেজরিটির ভোটেই চেয়ারম্যান হবেন। এই সিস্টেমটা এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে প্রত্যেকের কাজ রয়েছে। একে অন্যের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে। অনিয়ম হলে একে অন্যের প্রতি অনাস্থা জানাতে পারবে। এটা হচ্ছে গণতান্ত্রিকভাবে একটা ফোরাম, এখানে মেজরিটি ভোটে সবকিছু হবে।
তিনি বলেন, এখানে এই সিস্টেমটা এমনভাবে করা হয়েছে যার অর্গানোগ্রামটা দেখলে বোঝা যাবে, এখানে প্রত্যেকের কাজ এবং জবাবদিহিতা আছে। এখানে শুধু একজন চেয়ারম্যানের ভূমিকা আছে জিনিসটা তা না। এখন যেটা হচ্ছে- সভা হয়, ন্যায় পরিষদের সেই সভা পরিচালনা করেন চেয়ারম্যান। সভায় যে সিদ্ধান্ত হয় সেটা বাস্তবায়নও করেন চেয়ারম্যান। এককভাবে সব ক্ষমতা এক জায়গায়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা এটাকে আলাদা করেছি ‘লেজিসলটিভ’ ফাংশন এবং ‘নির্বাহী’ ফাংশন-এ। নির্বাহী কর্ম আর বিধানিক কর্মকে আলাদা করা হয়েছে। এখানে সাধারণ মেম্বাররা কোন রকমের নির্বাহী কাজ করবেন না। তাদের কাজ হবে মূলত লেজিসলটিভ। তারা ডিবেট করবেন। আলোচনা করবেন। সিদ্ধান্ত দেবেন। বাস্তবায়ন করবেন চেয়ারম্যান নিজে এবং তার তিন সদস্যের একটা কাউন্সিল থাকবে। তারা ফুল টাইম। এখন লোকাল গভর্মেন্ট সিস্টেমে ফুলটাইম, পার্ট টাইম বলে কিছু নেই। সবাই বেতন নিচ্ছে, কিন্তু ফুলটাইম কারো জব নাই। যার ফলে জনগণ গিয়ে তাদের পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, মেম্বারদের মধ্যে এবার নির্বাচন হওয়ার পরে অনেকগুলো স্টেপে যাবে এবং অনেকের ভূমিকা বিভিন্নভাবে আসবে। প্রত্যেকে কিছু কাজ পাবে। সেটা হচ্ছে- প্রথমে নির্বাচন হওয়ার পরে সভার দায়িত্ব হবে একজন সভাধিপতি বা সভাধ্যক্ষ নির্বাচন করা। এটা জাতীয় সমাজের স্পিকারের মত, তার কাজ হবে ইউনিয়ন পরিষদের অধিবেশনগুলো পরিচালনা করা এবং স্থায়ী কমিটির সভাগুলো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করে তার প্রসিডিং হওয়ার মত ব্যবস্থা করা। তাকে সাপোর্ট করতে তার অধীনে থাকবেন একজন সচিব এবং কর্মচারী। তাদের কাজ হবে পরিষদের সভাগুলো সময়মত করা, সভা ডাকা, এজেন্ডা ঠিক করা এবং সেই এজেন্ডা চেয়ারম্যানের সাথে অবশ্যই আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। সভাগুলো পরিচালনা করবে। সভায় খোলামেলা আলোচনা হবে, সিদ্ধান্ত হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো চলে যাবে চেয়ারম্যানের কাছে। এভাবে কাজগুলোতে সমন্বয় আসবে।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, পরিষদে কারো কাজে অনিয়ম হলে একে অন্যের প্রতি অনাস্থা জানাতে পারবে। পরে পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে অনাস্থা পাশ করবেন কি না। অনাস্থা পাশ হয়ে গেলেই তিনি বরখান্ত। সুতারাং কন্ট্রোল যেখানে পরিষদের হাতে, সেখানে দ্বন্দ্ব কোথা থেকে আসবে? এটা তো হওয়া উচিৎ। জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের পাশে না থাকেন, ভালো কাজ না করেন পরিষদ অনাস্থা দেবে। পরিষদে ডিবেট হবে, ডিসকাশন হবে। মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যেতে হবে কেনো? গণতন্ত্রের চর্চা নিচের থেকেই শুরু হোক। সুতরাং এখানে ক্ষমতার ভারসাম্য আসেনি সেটা কেউ বলতে পারবে না।
কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমরা একটা ছোট্ট কমিশন, যা চাইছি তাই করতে হবে, এটা নিয়ে গো ধরে থাকার কিছু নেই। আমরা জাতির কাছে উপস্থাপন করবো, তারা যা ভালো মনে করবেন। তবে আশা করবো কোনো একটি বিষয় ধরে কোনো ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে হৈ চৈ না করা। সামগ্রিক ভাবে আমাদের প্রস্তাবগুলো পড়ে দেখে নিরপেক্ষেভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। অথচ বিষয়গুলো বিশ্লেষণ না করেই কেউ ধরে নিচ্ছেন, চেয়ারম্যান ইলেকশন হবে না তাহলে তো গণতন্ত্র থাকবে না। কেউ বলে দিচ্ছেন, গ্রাম আদালত থাকবে না এটা কেমন করে হতে পারে। এভাবে সমালোচনা করা হলে সেটা খুবই নির্দয় হবে। তাই জাতিকে বলব যে একটু বুঝে শুনে একটু দেখে শুনে পড়াশোনা করে সমালোচনাগুলো করুন। আমরা যা করছি, তাতে ক্রটি থাকতে পারে, আপনারা একটা ভালো বিকল্প দিন এবং ভালো বিকল্পটা নিয়ে আলোচনা হোক।
শোনা যাচ্ছে এক তফসিলে স্থানীয় সরকারের সবগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই ফমূর্লাটি আসলে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, এটি খুবই সহজ। কারণ, এখন যেহেতু চেয়ারম্যান নয় মেম্বার বেইজড পরিষদের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। তাই এখানে নির্বাচনটাও সহজ হয়ে যাচ্ছে। এখানে এক তফসিলে প্রতিটি ডিভিশনে ভাগভাগ করে নির্বাচন করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা, উপজেলা সিটি কর্পোরেশনে আলাদা আলাদা নির্বাচন করতে গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু এক তফসিলে নির্বাচন হলে অস্থিরতামুক্ত হবে জাতি, জনবল কম লাগবে। একসঙ্গে নির্বাচন হয়ে গেলে সব পরিষদ একসঙ্গে কাজ শুরু করতে পারবে। সবার সঙ্গে কাজের সমন্বয় থাকবে। তাছাড়া এখন এক তফসিলে নির্বাচন করাটা অনেক সহজ হবে। কারণ, এখন ‘কিøন স্লট’ রয়েছে। ‘অল লোকাল গভর্মেন্ট’ বাতিল। এক ধরনের শূণ্যতা রয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময় যখন হবে, কারো সময় হবে এক বছর কিংবা দুই বছর পরে। সবাইকে এক তফসিলে নিয়ে আসা কষ্ট হবে।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার। সংবিধান সেই ক্ষমতা তাকে দেয়নি। আমরা চাই সংবিধান সংশোধন করে স্থানীয় নির্বাচন করার ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেয়ার। এতে নির্বাচন কমিশন নিজেই নির্বাচনের শিডিউল ঠিক করতে পারবে। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যদিও আমি এই বিতর্কে ঢুকতে চাই না। তবুও বলবো, এটা অহেতুক বিতর্ক। এটার কোন জাস্টিফিকেশন নেই। আগে সংস্কারের প্রশ্নটা আসুক। সংস্কার যে আকারেরই হোক না কেনো, সদিচ্ছা থাকলে তিন মাসেই করা সম্ভব। এবার নির্বাচন কখন হবে সেটা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপার। তবে জাতির স্বার্থে এ ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।