আইনের শাসন সমুন্নত রাখার জন্য পুলিশ, প্রসিকিউটর ও বিচারকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
ঢাকা, ওপেন প্রেস ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বুধবার নিপীড়ক শাসনব্যবস্থা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র ও যুবসমাজের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসস।
তিনি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনে তার মূল বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
রোমে ইফাদ সদর দপ্তরে আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়। আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে ইফাদ-এর অবদানের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে কৃষি ও জলবায়ু খাতে ইফাদ -এর চার দশকের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।
তিনি ইফাদ-সমর্থিত প্রকল্পগুলোর প্রশংসা করেন যা বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন করে।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর ‘সামাজিক ব্যবসা’ ধারণাটিকে গ্রামীণ উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা একটি কল্যাণজনক সার্কেল তৈরি করার মাধ্যমে নানা ব্যবসায়ী জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করে সাফল্য লাভ করে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।
তিনি ইফাদ -এর প্রচেষ্টা এবং টেকসই উন্নয়নে ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নির্গমনের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সাদৃশ্যেও কথা তুলে ধরনে।
অধ্যাপক ইউনূস ইফাদ-এর পরিচালনা পরিষদকে জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো, টেকসই কৃষি কাজ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান যাতে গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলো পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উন্নতি করতে পারে।
তিনি ইফাদ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ গ্রহণ করতে এবং এমন একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান- যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ভবিষ্যতের নেতা ও পরিবর্তনের কারিগর হিসেবে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সকলের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য তাদের (তরুণদের) সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও আবেগ রয়েছে।’
আইএফএডি গভর্নিং বোর্ডের গভর্নর হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কাউন্সিল সভায় যোগদান করেন এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।