অর্থ-বাণিজ্য

আবদুল আউয়াল মিন্টুর জব্দ ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়ার নির্দেশ

ঢাকা, (২৪ আগস্ট, ২০২৪), ওপেন প্রেস ডেস্ক/বাসস : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী ও ছেলের ১৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা ব্যাংক হিসাবগুলো খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এনবিআর সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের হিসাব খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তাবিথ আউয়াল বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচন করেন।

২০০৭ সালের ১ আগস্ট এনবিআরের সিআইসি মিন্টু, তার স্ত্রী নাসরিন আউয়াল মিন্টু ও ছেলে তাবিথ আউয়ালের ব্যাংক হিসাবসমূহ জব্দ করার নির্দেশ দেয়।

তৎকালীন সরকারের আমলে গঠিত একটি প্যানেলের সুপারিশের ভিত্তিতে কর এনবিআরের গোয়েন্দা অফিস এ আদেশ জারি করে।

২০০৭ সালের একই মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করার নির্দেশ দেয় সিআইসি।

গত সপ্তাহে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর তাঁর ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের বাধা অপসারণ করে।

এনবিআর ২০০৭ সালের আগস্টে এক চিঠিতে মিন্টুর ব্যক্তিগত বা যৌথ মালিকানাধীন সমস্ত সক্রিয় এবং সুপ্ত হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।

সে সময় তাদের মালিকানাধীন অন্যান্য সঞ্চয় হিসাবসহ ভল্ট, লকার, সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তোলা বা স্থানান্তর স্থগিত করে সিআইসি।

চলতি বছরের ২২ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এনবিআর।

সব ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সিআইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সরকারি রাজস্বসংক্রান্ত স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১১৭ (৪) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আবদুল আউয়াল মিন্টু, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ও তাবিথ আউয়ালের একক ও যৌথ নামে সব সক্রিয় ও সুপ্ত ব্যাংক হিসাব (চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, মেয়াদি আমানত হিসাব, লোন হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, ভল্ট, লকার, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্টসহ সব ধরনের হিসাব) থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছিল। এখন এই আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Share

Follow us